বাংলার মানুষ বাঘ বললেই মূলত বোঝেন সুন্দরবনের হলুদ-কালো ডোরাকাটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সংখ্যায় কম হলেও সাদা বাঘও রয়েছে ভারতে। তবে কালো বাঘের কথা বোধহয় খুব কম মানুষই জানেন। না জানারই কথা, কারণ এই বাঘ অত্যন্ত বিরল। সম্প্রতি তেমনই একটি বাঘের খোঁজ মিলেছে ওড়িশায়। তবে জীবন্ত নয়, মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে সেটিকে (Black Tiger Found Dead)।
ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল ন্যাশনাল পার্কের নওয়ানা সাউথ রেঞ্জে গত ৩০ এপ্রিল সকালে বিরল একটি কালো বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়ে। পার্কের আধিকারিকদের অনুমান, নিজেদের মধ্যে মারামারির ফলেই মৃত্যু হয়েছে বাঘটির। সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের (Similipal Tiger Reserve) প্রিন্সিপ্যাল চিফ কনজার্ভেটর সুশীল কুমার পোপলি বাঘটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বাঘটির নাম টি২৭। তার বয়স সাড়ে ৩ বছর। ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির কাছে ইতিমধ্যেই বাঘটির মৃত্যুর খবর পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পার্কের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাঘটির দেহ অক্ষত ছিল। নমুনাগুলি বিশ্লেষণের জন্য ওডিশা ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (OUAT) এবং ভারতের বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউটে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রাথমিকভাব দেহে থাকা ক্ষতচিহ্ন দেখে অনুমান করা হচ্ছে, জঙ্গলেরই অন্য একটি পুরুষ বাঘের সঙ্গে মারামারির ফলে মৃত্যু হয়েছে বাঘটির। তবে পরীক্ষার ফলাফল এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে দাবি আধিকারিকদের। ময়নাতদন্তের পর বাঘটির দেহ দাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গোটা পৃথিবীতে একমাত্র সিমলিপালই এই বিরল কালো বাঘের বাসস্থান। এসটিআরকে ১৯৭৩ সালে ভারতের ৯টি টাইগার রিজার্ভের মধ্যে একটি বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এবং ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের মধ্যেও নাম রয়েছে এটির।