২০০৬ সালে তৎকালীন বাম সরকার সিঙ্গুরে কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে টাটা গোষ্ঠীর একলাখি গাড়ির কারখানা গড়ার জন্য জমি দেয়। কিন্তু অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলনে নামে, যেখানে বহু চাষি ও সমাজকর্মী যুক্ত ছিলেন। এই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়া হয়।
তবে জমি ফেরত পাওয়ার ফলে কারখানা স্থাপনের সুযোগ হারিয়ে টাটা গোষ্ঠীর আর্থিক ক্ষতি হয়। ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয় এবং বিষয়টি গড়ায় আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনাল রাজ্যের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি পি. নরসিংহ ও বিচারপতি অতুল এস. চান্দুরকরের বেঞ্চ সেই রায় বহাল রাখে। এর ফলে রাজ্য সরকারকে টাটা মোটরসকে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল ট্রাইব্যুনালের এক সদস্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও বেঞ্চ তা গুরুত্ব দেয়নি এবং সতর্ক করে জানায়, অভিযোগ ভিত্তিহীন হলে রাজ্যকে জরিমানা গুনতে হবে।
রাজনৈতিক মহলে এই রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, “আন্দোলনের রাজনীতি রাজ্যের ক্ষতি ডেকে এনেছে, এবার মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণও গুনতে হবে।” যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।